বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কথিত প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন নায়কের বাবা। ২০২০ সালের জুলাই মাসে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়। মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয় তাদের। প্রায় দু-মাস মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ছিলেন রিয়া। তবে মুক্তির পর দীর্ঘদিন জেলে কাটানো দিনগুলো নিয়ে মুখ খুলেননি রিয়া। অবশেষে জেলের জীবন কেমন ছিল তা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। লেখক চেতন ভগতকে তিনি জানান, জেলে ছিল নোংরা গোসলখানা। আর তাকে খাবার নিয়ে কষ্ট করতে হয়েছে।
আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়, সুশান্ত যখন মারা যান সেই সময় দেশে লকডাউন চলছে। যে ভাবে তাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে, রিয়া জানাতেন তাকে জেলে যেতেই হবে। করোনাকালে জেলবন্দি হওয়ায় প্রায় ১৪ দিন একা একটা কক্ষে থাকতে দেওয়া হয় রিয়াকে। খাবার বলতে রুটি আর ক্যাপসিকাম। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী বলেন, ‘করোনাকালের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের জন্যই ১৪ দিন জেলের একটা ঘরে সম্পূর্ণ একা রাখা হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করা হত, দুপুরে খাব কি না। সত্যি বলতে এত খিদে পেত এবং ক্লান্ত থাকতাম যে, যা দেওয়া হত তাই-ই খেয়ে নিতাম। সেই সময় আমাকে রুটি আর ক্যাপসিকাম খেতে দেওয়া হত। সেটা কিন্তু তরকারির মতো ছিল তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ছিল কেবলই ক্যাপসিকাম এবং জল।’
জেলবন্দি সময়ে বেশ কিছু জীবনবোধ তৈরি হয় তার। নিজেকে এক এক সময় ভাগ্যবান বলেও মনে হয়েছে রিয়ার। তার কথায়, ‘আমি জেলবন্দি থাকাকালীন দেখেছি অনেক বন্দির পরিবারের সামর্থ্য নেই। পাঁচ কিংবা দশ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিল না। আমার তো তা-ও পরিবার এবং বন্ধুরা আছে। আমার নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হত।’
শেষে রিয়ার সংযোজন, ‘জেলে যে মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, সেখানে নোংরা গোসলখানা- এসব খুব ছোট মনে হত। শারীরিক অসুবিধা কিছুই না যেন।’